Explanation
কিভাবে মেকআপ করলে উঠে যাবে না: ১০টি কার্যকর টিপস মেকআপ হলো এমন একটি শিল্প যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সুন্দর এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। কিন্তু মেকআপ করার পর সবচেয়ে বড় যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হলো মেকআপের স্থায়িত্ব। অনেক সময় আমরা লক্ষ্য করি যে দিনের মধ্যেই মেকআপ উঠে যাচ্ছে বা গলে যাচ্ছে। এটা খুবই হতাশাজনক। তাই, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিভাবে মেকআপ করলে তা সারা দিন ধরে থাকবে এবং কিভাবে তা উঠে যাবে না।
কিভাবে মেকআপ করলে উঠে যাবে না
মেকআপ স্থায়ী রাখা নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ, তবে সঠিক নিয়ম এবং পদ্ধতি অনুসরণ করলে এই সমস্যাটি সহজেই সমাধান করা যায়। ত্বকের সঠিক যত্ন, সঠিক প্রোডাক্টের ব্যবহার এবং উপযুক্ত কৌশলগুলি মেনে চললে মেকআপ দীর্ঘ সময় ধরে সতেজ এবং স্থায়ী থাকবে।
১. সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন ব্যবহার করুন
মেকআপ টিকে থাকার জন্য প্রথম ধাপই হলো সঠিক স্কিন কেয়ার। ত্বকের যত্ন নিলে মেকআপ দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয় এবং ত্বকেও সমস্যা দেখা দেয় না।
- ক্লিনজিং: ত্বক পরিষ্কার রাখার জন্য প্রথমে একটি ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বক থেকে ধুলো-ময়লা এবং তেল দূর করবে।
- ময়েশ্চারাইজিং: ত্বকের শুষ্কতা মেকআপকে দ্রুত উঠতে সাহায্য করে। তাই, মেকআপের আগে অবশ্যই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে।
- প্রাইমার ব্যবহার করুন: মেকআপ স্থায়ী করতে প্রাইমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকে একটি সুরক্ষার স্তর তৈরি করে, যা মেকআপকে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখে। প্রাইমার ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, যা মেকআপের গলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
২. সঠিক প্রাইমার ব্যবহার
মেকআপ সঠিকভাবে টিকে থাকার জন্য প্রাইমার খুবই জরুরি। আপনার ত্বকের ধরন বুঝে প্রাইমার বেছে নিতে হবে।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: ম্যাটিফাইং প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের তেলকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেকআপকে স্থায়ী করে।
- শুষ্ক ত্বকের জন্য: হাইড্রেটিং প্রাইমার মেকআপের আগে ব্যবহার করতে পারেন, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং মেকআপকে স্থায়ী করে রাখে।
৩. ম্যাট ফাউন্ডেশন বেছে নিন
ফাউন্ডেশন হলো মেকআপের প্রধান উপাদান, যা ত্বককে মসৃণ এবং সমান করে তোলে। মেকআপ টেকসই করতে ফাউন্ডেশনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ম্যাট ফাউন্ডেশন: যারা তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী তাদের জন্য ম্যাট ফাউন্ডেশন ভালো। এটি ত্বকের তেল শুষে নেয় এবং মেকআপকে দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী রাখতে সাহায্য করে।
- বিল্ডেবল ফাউন্ডেশন: একটি পাতলা স্তরে ফাউন্ডেশন লাগানোর পর তা আস্তে আস্তে বাড়িয়ে নিন। এতে করে ত্বকে ভারী ভাব আসবে না এবং মেকআপ সহজে উঠে যাবে না।
৪. মেকআপ সেটিং পাউডার ব্যবহার করুন
মেকআপ স্থায়ী করার জন্য সেটিং পাউডার খুবই কার্যকর। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় এবং মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। বিশেষ করে ফাউন্ডেশনের উপর একটি পাতলা স্তরে সেটিং পাউডার ব্যবহার করলে মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়ে।
- ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার: এটি মেকআপের রঙ পরিবর্তন না করে, ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে সাহায্য করে।
- লুজ পাউডার: লুজ পাউডার মেকআপকে আরও নিখুঁতভাবে সেট করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের মসৃণতা বাড়ায়।
৫. ফিক্সিং স্প্রে ব্যবহার
মেকআপের পরে ফিক্সিং স্প্রে ব্যবহার করলে মেকআপ আরও স্থায়ী হয়। এটি মেকআপকে সিল করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে মেকআপের সতেজতা বজায় রাখে। ফিক্সিং স্প্রে মেকআপের শুষ্ক ভাব দূর করে এবং ত্বকে একটি সতেজ লুক আনে।
৬. আই প্রাইমার ব্যবহার
চোখের মেকআপ দীর্ঘক্ষণ টিকিয়ে রাখতে আই প্রাইমার খুবই কার্যকর। চোখের পলক তৈলাক্ত হয়ে গেলে চোখের মেকআপ সহজেই উঠে যেতে পারে। তাই, আই প্রাইমার ব্যবহার করলে চোখের মেকআপ দীর্ঘ সময় স্থায়ী থাকে এবং আইশ্যাডো ফেড হয়ে যায় না।
৭. ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন
মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ওয়াটারপ্রুফ প্রোডাক্ট বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আইলাইনার, মাস্কারা এবং ফাউন্ডেশন ক্ষেত্রে ওয়াটারপ্রুফ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে তা সহজে উঠবে না এবং মেকআপ আরও স্থায়ী হবে।
- ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার: সারা দিন ধরে চোখের মেকআপ ঠিক রাখতে এটি অপরিহার্য।
- ওয়াটারপ্রুফ মাস্কারা: জল বা ঘামের কারণে মাস্কারা গলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৮. ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ
মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। অতিরিক্ত তেল মেকআপের গলে যাওয়ার প্রধান কারণ।
- ব্লটিং পেপার: দিনব্যাপী ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণের জন্য ব্লটিং পেপার ব্যবহার করতে পারেন। এটি মেকআপকে না উঠিয়ে ত্বকের তেল কমিয়ে আনে।
- ম্যাটিফাইং স্প্রে: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাটিফাইং স্প্রে ব্যবহার করা যায়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা কমায় এবং মেকআপ স্থায়ী করে।
৯. হাইলাইটার এবং ব্রোঞ্জার লাগানোর সঠিক পদ্ধতি
মেকআপের মধ্যে হাইলাইটার এবং ব্রোঞ্জার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে সেগুলো ঠিকভাবে না লাগালে মেকআপ উঠে যেতে পারে।
- হালকা হাতে লাগান: হাইলাইটার এবং ব্রোঞ্জার হালকা হাতে এবং নির্দিষ্ট জায়গায় লাগান। এটি মেকআপের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ত্বককে খুব বেশি চকচকে করে তোলে না।
- সেটিং স্প্রে দিয়ে শেষ করুন: মেকআপ সম্পূর্ণ করার পরে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন, যা মেকআপকে সিল করে এবং ত্বককে সতেজ রাখে।
১০. ঠোঁটের মেকআপ স্থায়ী করার কৌশল
ঠোঁটের মেকআপ সহজে উঠে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাই সঠিকভাবে ঠোঁটের মেকআপ করা জরুরি।
- লিপ লাইনার ব্যবহার করুন: লিপস্টিকের আগে লিপ লাইনার ব্যবহার করলে লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি ঠোঁটের লাইন ঠিক রাখে এবং লিপস্টিককে আরও স্থায়ী করে তোলে।
- লং-লাস্টিং লিপস্টিক: লং-লাস্টিং লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁটের মেকআপ সারাদিন স্থায়ী হয় এবং ঠোঁটের শুষ্কতাও কমে যায়।
১১. লেয়ারিং কৌশল ব্যবহার করুন
মেকআপকে স্থায়ী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো লেয়ারিং বা স্তরে স্তরে মেকআপ করা। একসঙ্গে অনেক প্রোডাক্ট না লাগিয়ে ধীরে ধীরে স্তর তৈরি করে মেকআপ করলে তা আরও স্থায়ী হয় এবং গলে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।

- ক্রিম এবং পাউডার মিক্স: ক্রিম ভিত্তিক প্রোডাক্ট (যেমন ক্রিম ব্লাশ বা ক্রিম হাইলাইটার) এবং পাউডার ভিত্তিক প্রোডাক্টকে একত্রে ব্যবহার করলে মেকআপ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- প্রতি স্তর সেট করুন: মেকআপের প্রতিটি স্তরেই সেটিং পাউডার ব্যবহার করলে তা সহজে উঠে যায় না। যেমন ফাউন্ডেশনের পর একবার সেটিং পাউডার দিয়ে সেট করা উচিত, তারপর কনট্যুর বা ব্লাশ লাগানোর পর আবার সেট করা যেতে পারে।
১২. ম্যাটিফাইং লোশন ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বক মেকআপের সবচেয়ে বড় শত্রু। অতিরিক্ত তেল বের হলে মেকআপ গলে যায় বা সহজে উঠে যায়। এজন্য মেকআপের আগে ম্যাটিফাইং লোশন ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ থাকে এবং তেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ম্যাটিফাইং প্রাইমার: যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তারা ম্যাটিফাইং প্রাইমার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে তেল নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে মেকআপ স্থায়ী হয়।
১৩. কনসিলার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
অনেকেই কনসিলার ব্যবহার করেন, কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার না করলে মেকআপ সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কনসিলার এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে এটি ক্রিজ না করে এবং দিনভর স্থায়ী থাকে।
- কনসিলার সেটিং পাউডার: কনসিলার লাগানোর পরে সেট করার জন্য ট্রান্সলুসেন্ট সেটিং পাউডার ব্যবহার করা উচিত। এটি কনসিলারকে সঠিকভাবে স্থির করে এবং ক্রিজ তৈরি হতে বাধা দেয়।
- ফিঙ্গার বা স্পঞ্জ দিয়ে লাগানো: কনসিলার লাগানোর সময় ফিঙ্গার বা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা হাতে লাগান। এতে কনসিলার ত্বকে মিশে গিয়ে স্থায়ী হবে।
১৪. ব্লাশ ও ব্রোঞ্জার স্থায়ী করা
ব্লাশ এবং ব্রোঞ্জার মেকআপের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। তবে সঠিকভাবে না লাগালে এগুলো সহজেই উঠে যায়।
- ক্রিম ব্লাশ: পাউডার ব্লাশের পরিবর্তে ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার করলে এটি ত্বকে ভালোভাবে মিশে যায় এবং আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়। ক্রিম ব্লাশের উপরে হালকা পাউডার ব্লাশ লাগালে মেকআপ আরও দীর্ঘসময় ধরে থাকবে।
- ব্রোঞ্জার সেটিং: ব্রোঞ্জার লাগানোর পর সেটিং স্প্রে ব্যবহার করলে এটি আরও স্থায়ী হয়ে যায় এবং মেকআপে ফ্ল্যাট লুক আসে না।
১৫. ঘামের জন্য প্রস্তুতি
অনেক সময় বিশেষ করে গরমের দিনে ঘাম হয়ে মেকআপ উঠে যেতে পারে। তাই ঘাম এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়।
- ওয়াটারপ্রুফ প্রোডাক্ট: গরমে মেকআপ স্থায়ী রাখতে অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে ফাউন্ডেশন, আইলাইনার এবং মাস্কারা।
- অয়েল কন্ট্রোল স্প্রে: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেল নিয়ন্ত্রণকারী স্প্রে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের ঘাম এবং তেল কমিয়ে দেয়, ফলে মেকআপ স্থায়ী থাকে।
১৬. পাউডার ব্লটিং কৌশল
পাউডার ব্লটিং একটি কার্যকর কৌশল যা মেকআপকে দীর্ঘ সময় ধরে সতেজ এবং স্থায়ী রাখে। দিনের মধ্যেও ত্বকে অতিরিক্ত তেল দেখা দিলে পাউডার ব্লটিং পেপার ব্যবহার করতে পারেন।
- ব্লটিং পেপার: ব্লটিং পেপার ত্বকের তেল শুষে নেয় এবং মেকআপকে সতেজ রাখে। এটি ত্বকের মেকআপ ঠিক রেখে তেল সরিয়ে দেয়।
- ম্যাট ফিনিশিং পাউডার: ব্লটিং পেপার ব্যবহারের পর ম্যাট ফিনিশিং পাউডার লাগিয়ে নিলে ত্বক আরও সতেজ এবং মেকআপ স্থায়ী থাকবে।
১৭. মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ পরিষ্কার রাখুন
মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নোংরা ব্রাশ এবং স্পঞ্জ ব্যবহার করলে ত্বকে ময়লা জমে মেকআপ দ্রুত নষ্ট হতে পারে।
- সপ্তাহে একবার পরিষ্কার: মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করুন। এটি মেকআপের ফিনিশিং ভালো রাখে এবং ত্বকের সুরক্ষা দেয়।
- এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার: ব্রাশ পরিষ্কারের জন্য এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের জন্য ভালো এবং মেকআপকে স্থায়ী রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর।
১৮. মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়ানোর খাবার ও জীবনধারা
সুস্থ জীবনধারা এবং পুষ্টিকর খাদ্য ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক যত স্বাস্থ্যকর হবে, মেকআপ তত বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে।
- পানি পান: ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। শুষ্ক ত্বকে মেকআপ দ্রুত উঠে যেতে পারে।
- সুস্থ খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন তাজা শাকসবজি, ফল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বক উজ্জ্বল এবং মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
উপসংহার
মেকআপ একটি শিল্প, এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী করতে কিছু কৌশল জানা জরুরি। সঠিক প্রাইমার, ওয়াটারপ্রুফ প্রোডাক্ট, ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সেটিং স্প্রে ব্যবহারের মাধ্যমে মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করা যায়।
Related Questions
বাঙালি ব্রাইডাল মেকআপ কিভাবে করবেন: সহজ ও কার্যকরী টিপস
শিক্ষানবিস মেকআপ: পদক্ষেপে পদক্ষেপে মেকআপ কিভাবে করবেন
মেকআপ কেন কালো হয়? ফাউন্ডেশন অক্সিডেশন প্রতিরোধের উপায়।
মেকআপে কোন প্রোডাক্ট কিনবেন? কার্যকরী গাইড এবং পরামর্শ
শুরুতে মেকআপ: সহজ পদ্ধতি ও টিপস শিখুন | Beginner Makeup Bengali
নতুনদের জন্য সহজ ঈদ মেকআপ টিপস ও গাইড
ব্রণের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
শ্যামলা ত্বকের জন্য গ্লোয়িং মেকআপ: সহজ টিপস ও ট্রিকস
কমদামি মেকআপ: সাশ্রয়ী বাজেটে সংসার সজ্জা করুন
কেন মেকআপ কালো হয়ে যায়