Stamp is attached to a/an- ?

ডাকপত্রের ওপর ডাকটিকিট (পোস্টেজ স্ট্যাম্প) সংযুক্ত করার মূল কারণ হলো সেটি ডাকবিভাগে প্রেরণের সময় নির্ধারিত মুল্য বা ফি হিসেবে কাজ করে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

প্রথমে, ডাকটিকিটের উদ্দেশ্য কী? ডাকটিকিট মূলত একটি ছোট কাগজের টুকরো, যা ডাকপত্রের উপর বসিয়ে সেই পত্র বা পার্সেলের জন্য প্রয়োজনীয় ডাকখরচ পরিশোধ করার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যখন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য কোথাও কেউ বা অন্য কোন অফিসে কোনো বার্তা, নথি বা পণ্য পাঠাতে চায়, তখন সেটি ডাকবিভাগে জমা দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। এই ফি পরিশোধের স্বীকৃতি হিসেবে ডাকটিকিট আঠাইতে হয়।

এবার অন্যান্য বিকল্পগুলো বিবেচনা করলে দেখা যাবে:

- একটি প্রবন্ধ (essay) সাধারণত শিক্ষাগত বা গবেষণামূলক উদ্দেশ্যে লেখা হয়, যা ব্যক্তিগতভাবে জমা দিতে হয় বা ই-মেইলে পাঠানো হতে পারে, ডাকপত্র হিসেবে নয়।
- একটি অনুচ্ছেদ (paragraph) হল লেখার একটি অংশ, যা এককভাবে আলাদাভাবে ডাকপদ্ধতিতে পাঠানোর প্রয়োজন হয় না।
- একটি আবেদনপত্র (application) সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে পারে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা সরাসরি অফিসে জমা দেওয়া হয় বা অনলাইনে পাঠানো হয়, ডাকটিকিট সংযুক্তির প্রয়োজন পড়ে না। তবে সরকারি স্ট্যাম্প বা রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগতে পারে, কিন্তু তা পোস্টাল স্ট্যাম্প নয়।
- অন্যদিকে, একটি ‘ডাকপত্র’ বা ‘চিঠি’ (letter) হল সেই একক লেখনীর মাধ্যম যা ডাকবিভাগ ব্যবহার করে দূরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছায়। তাই পোস্টাল স্ট্যাম্প সংযুক্তির বিষয় এখানে প্রযোজ্য।

কোন ক্ষেত্রে ডাকটিকিট বাঁধা হয়? সাধারণত চিঠি বা পার্সেলের খানে। স্ট্যাম্প সংযুক্ত না থাকলে সেটি ডাকবিভাগ গ্রহণ করবে না বা ফেরত পাঠাতে পারে, কারণ ফি পরিশোধের প্রমাণ মুদ্রিত থাকাটাই প্রধান শর্ত।

সংক্ষেপে: ডাকটিকিট বা পোস্টেজ স্ট্যাম্প সংযুক্ত করার সঠিক মাধ্যম হলো ‘চিঠি’।