শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড ভাব সম্প্রসারণ ?
Explanation
মানবজীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন হলো শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষ হয়ে ওঠে প্রকৃত মানুষ, আর একটি জাতি হয়ে ওঠে উন্নত, সচেতন ও সুশৃঙ্খল। তাই অযথাই বলা হয়নি—“শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।” যেমন শরীরের মেরুদণ্ড না থাকলে মানুষ দাঁড়াতে পারে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি সভ্যতার আসনে দাঁড়াতে সক্ষম হয় না। শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে, চিন্তাশক্তি বিকশিত হয় এবং দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
শিক্ষা মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন এবং উন্নতির প্রধান হাতিয়ার। মানুষ প্রকৃত অর্থে মানুষ হতে হলে তাকে অবশ্যই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হয়। শিক্ষা ছাড়া মানুষ পশুর সমতুল্য হয়ে পড়ে, কারণ শিক্ষা মানুষকে যুক্তিবাদী করে তোলে, সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করার ক্ষমতা দেয় এবং তাকে নৈতিক ও আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
শিক্ষার সংজ্ঞা ও গুরুত্ব
শিক্ষা শুধু পাঠ্যবই পড়া বা পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রকৃত শিক্ষা হলো মানুষের ভেতরকার জ্ঞান, নৈতিকতা, সৎ চিন্তা ও মানবিকতার বিকাশ। শিক্ষা মানুষকে করে তোলে যুক্তিবাদী, সৎ ও ন্যায়ের পথে অটল। শিক্ষিত মানুষ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিতে পারে।
যে জাতি শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, তারা অন্ধকারে বসবাস করে। অজ্ঞতা, দারিদ্র্য, কুসংস্কার, অন্যায় ও অনাচার তাদের গ্রাস করে রাখে। অন্যদিকে শিক্ষিত জাতি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে এগিয়ে যায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও নৈতিকতার পথে।
তাই যুগে যুগে দার্শনিক, কবি, সমাজসেবক এবং শিক্ষাবিদরা একবাক্যে বলেছেন “শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।” যেমন মেরুদণ্ড ছাড়া কোনো মানুষ দাঁড়াতে বা চলতে পারে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি সভ্যতার আসনে দাঁড়াতে সক্ষম হয় না। যে জাতি শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তারা পিছিয়ে পড়ে, অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় এবং দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকে। বিপরীতে শিক্ষিত জাতি তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে শুধু নিজেদের জীবন নয়, রাষ্ট্র ও সমাজকেও উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়। এ কারণেই শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড, কারণ এর উপরই টিকে থাকে একটি জাতির অস্তিত্ব, উন্নতি ও অগ্রযাত্রা।
শিক্ষা ও ব্যক্তিজীবন
শিক্ষা ব্যক্তিজীবনে অনন্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা বলতে আমরা সাধারণত পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জনকে বুঝি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা হলো মানুষের মননশীলতা, নৈতিকতা, চিন্তাশক্তি এবং আত্মিক বিকাশের সমন্বিত রূপ। শিক্ষা শুধু অক্ষরজ্ঞান অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি এমন এক প্রক্রিয়া যা মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি হয়তো বেঁচে থাকতে পারে, জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, কিন্তু শিক্ষিত না হলে সে প্রকৃত মানুষে পরিণত হতে পারে না। শিক্ষা মানুষকে মানবিক করে, তার চিন্তাকে বিস্তৃত করে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সচেতন হতে শেখায়।
-
চরিত্র গঠন: শিক্ষা মানুষকে নীতি-নৈতিকতা শেখায়। সততা, সত্যবাদিতা, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ একজন শিক্ষিত মানুষের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
আত্মবিশ্বাস ও যোগ্যতা: শিক্ষিত মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়, সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়।
-
সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ: শিক্ষার কারণে মানুষ যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, আবেগপ্রবণ না হয়ে বাস্তবতার আলোকে কাজ করতে শেখে।
-
আর্থিক সাফল্য: শিক্ষিত ব্যক্তি চাকরি, ব্যবসা বা পেশাগত জীবনে সফল হওয়ার সুযোগ পায়।
শিক্ষা ও সামাজিক জীবন
একজন শিক্ষিত মানুষ শুধু নিজে উন্নত হয় না, বরং গোটা সমাজকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। একটি জাতির ক্ষেত্রে শিক্ষার গুরুত্ব আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। যে জাতি শিক্ষিত, তারা সভ্যতা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলায় অগ্রসর হয়। তারা নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে অশিক্ষিত জাতি অন্য জাতির কাছে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সুতরাং শিক্ষা একটি জাতির অস্তিত্ব ও অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য উপাদান।
-
সমাজ সংস্কার: অশিক্ষিত সমাজে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামি ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষা মানুষকে এসব থেকে মুক্তি দেয়।
-
সামাজিক সম্প্রীতি: শিক্ষা মানুষকে ভ্রাতৃত্ব, সমতা ও সহযোগিতার মূল্য শেখায়। শিক্ষিত সমাজে সাম্প্রদায়িকতা বা বৈষম্য কম থাকে।
-
নারী শিক্ষা: একটি জাতির অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। যদি নারীরা শিক্ষিত হয়, তবে পুরো সমাজ উন্নতির পথে অগ্রসর হয়। নারী শিক্ষার মাধ্যমে পরিবার সচেতন হয়, শিশুরা সুশিক্ষিত হয় এবং জাতি সমৃদ্ধ হয়।
শিক্ষা ও রাষ্ট্র
রাষ্ট্রের উন্নতির মূল চাবিকাঠি হলো শিক্ষা। শিক্ষা প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে এক বিরাট পরিবর্তন আনে। একজন মানুষ যখন শিক্ষা অর্জন করে, তখন তার চিন্তাধারা পরিণত হয়, সে চারপাশের জগত সম্পর্কে সচেতন হয় এবং জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করে। শিক্ষা মানুষের মধ্যে নীতি-নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ, সততা এবং মানবিকতা জাগ্রত করে। একজন শিক্ষিত মানুষ সমাজে সৎভাবে জীবনযাপন করতে পারে, অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারে এবং নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠা: শিক্ষিত মানুষই ন্যায়পরায়ণ শাসক, দক্ষ প্রশাসক এবং সৎ রাজনীতিবিদ হতে পারে।
-
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বিজ্ঞান, শিল্প, কৃষি, প্রযুক্তি ও ব্যবসায় অবদান রাখে।
-
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র: স্বাধীনতা রক্ষায় শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষিত জনগণ অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয় এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে লালন করে।
-
আন্তর্জাতিক মর্যাদা: শিক্ষিত জাতি বিশ্বে মর্যাদা পায়। তারা প্রযুক্তি ও গবেষণায় অবদান রেখে বৈশ্বিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়।
শিক্ষা ও জাতির উন্নয়ন
জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে। একজন অশিক্ষিত মানুষ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে যায় এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, কিন্তু শিক্ষিত মানুষ যৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শিক্ষার কারণে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে, অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে সক্ষম হয়। আবার অর্থনৈতিক দিক থেকেও শিক্ষা ব্যক্তিকে সফলতার পথে নিয়ে যায়। শিক্ষিত ব্যক্তি চাকরি, ব্যবসা কিংবা অন্য যেকোনো পেশায় সফলতা অর্জন করে নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে সমাজে মর্যাদাবান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তাই শিক্ষা ব্যক্তিজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
-
প্রযুক্তি শিক্ষা: আধুনিক যুগে প্রযুক্তিগত শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। যারা প্রযুক্তিতে দক্ষ, তারা শিল্প ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে।
-
বিজ্ঞান শিক্ষা: বিজ্ঞানের অগ্রগতি ছাড়া জাতি এগোতে পারে না। পরমাণু শক্তি, চিকিৎসা, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তিতে গবেষণার জন্য শিক্ষিত গবেষক দরকার।
-
নৈতিক শিক্ষা: কেবল ডিগ্রি অর্জন নয়, নৈতিক শিক্ষা জাতিকে সত্যিকার অর্থে উন্নত করে। সততা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম জাতির উন্নতির মূল ভিত্তি।
শিক্ষা ও স্বাধীনতার ইতিহাস
বাংলার ইতিহাসে শিক্ষার অবদান অনস্বীকার্য। রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নতির মূল চাবিকাঠি হলো শিক্ষা। একটি রাষ্ট্র তখনই প্রকৃত অর্থে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, যখন তার নাগরিকরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়। শিক্ষিত জনগণ রাষ্ট্রের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে। তারা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে, কারণ তারা জানে কীভাবে ন্যায়পরায়ণ হতে হয়, কীভাবে আইন মানতে হয় এবং কীভাবে জনগণের সেবা করতে হয়।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন: শিক্ষিত ছাত্রসমাজই ভাষার অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেছে, যার ফলে আমরা মাতৃভাষার মর্যাদা পেয়েছি।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। শিক্ষিত মানুষই বুঝেছিল স্বাধীনতার মূল্য ও অধিকার।
এ থেকেই বোঝা যায়, শিক্ষা শুধু ব্যক্তিগত উন্নয়ন নয়; জাতীয় স্বাধীনতা ও সম্মানের সাথেও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
শিক্ষা ও আধুনিক বাংলাদেশ
আজকের বাংলাদেশে শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন কল্পনাতীত। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষিত জনগণ কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রেখে রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করে। তারা নতুন নতুন আবিষ্কার, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মর্যাদা এনে দেয়। আবার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষিত নেতৃত্ব অপরিহার্য। একজন অশিক্ষিত নেতা কখনোই সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে না। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, শিক্ষিত নেতাদের নেতৃত্বে রাষ্ট্র দ্রুত অগ্রসর হয়।
-
ডিজিটাল বাংলাদেশ: আইটি খাত, ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স সবই শিক্ষিত তরুণদের অবদান।
-
কৃষি উন্নয়ন: শিক্ষিত কৃষক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াচ্ছেন।
-
স্বাস্থ্য খাত: চিকিৎসাবিজ্ঞানে শিক্ষিত ডাক্তাররা জনগণের সেবা করছেন।
-
নারীর ক্ষমতায়ন: নারী শিক্ষা বৃদ্ধির ফলে সমাজে নারীর ভূমিকা বেড়েছে।
অশিক্ষার অভিশাপ
যেখানে শিক্ষা নেই, সেখানে অন্ধকার। অশিক্ষা একটি জাতির জন্য অভিশাপস্বরূপ। যেখানে শিক্ষা নেই, সেখানে কুসংস্কার, দারিদ্র্য, অন্ধবিশ্বাস, অপরাধ ও অবিচার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অশিক্ষিত সমাজে মানুষ সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারে না, তারা অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং নিজেদের উন্নতি করতে অক্ষম হয়। অশিক্ষা দারিদ্র্যের কারণ, আবার দারিদ্র্য অশিক্ষার কারণ এভাবেই একটি জাতি দুষ্টচক্রে পড়ে যায়।
শিক্ষাহীন সমাজে গণতন্ত্র টিকে না। জনগণ অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয় না, শাসকরা স্বেচ্ছাচারিতা চালায় এবং দেশ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অশিক্ষিত জাতি পিছিয়ে থাকে। তাই অশিক্ষার অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে হলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে।
-
কুসংস্কার, দারিদ্র্য ও অপরাধ বৃদ্ধি পায়।
-
সমাজে বৈষম্য ও অবিচার বাড়ে।
-
রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয় না।
-
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশ পিছিয়ে পড়ে।
অতএব, অশিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
উপসংহার
সবকিছু বিচার করে আমরা সহজেই বুঝতে পারি যে শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। শিক্ষা মানুষকে যেমন প্রকৃত মানুষ করে তোলে, তেমনি একটি জাতিকে করে তোলে শক্তিশালী, উন্নত ও মর্যাদাবান। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে সবার জন্য সহজলভ্য করা জরুরি। প্রতিটি শিশুর হাতে বই পৌঁছে দিতে হবে, উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে হবে এবং নৈতিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তাহলেই জাতির মেরুদণ্ড হবে দৃঢ়, আর আমরা গড়ে তুলতে পারব একটি জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। জাতির প্রকৃত শক্তি হলো তার শিক্ষিত নাগরিক। তাই শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে সেই মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব আমাদের সবার। কেবল তখনই আমরা গড়ে তুলতে পারব একটি জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যা বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
Related Questions
ভাবসম্প্রসারণ স্বার্থক জনম আমার জন্মেছি এ দেশে, স্বার্থক জনম মা গো, তোমায় ভালোবে...
যেমন কর্ম তেমন ফল ভাবসম্প্রসারণ
ভাবসম্প্রসারণ বন্ধু, অর্থ দুই মোর সংসারেতে ছিল; দিনু ঋণ সেই অর্থ বন্ধু তা চাহিল।...
পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা কর ভাবসম্প্রসারণ
ভাবসম্প্রসারণ আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা,করিতে পারি শকতি যেন রয়
যে সহে সে রহে ভাবসম্প্রসারণ
ভাবসম্প্রসারণ শুধু রক্তের সম্বন্ধে আত্মীয়তা হয় না, আত্মায় আত্মায় মিলনেই সৃষ্টি হ...
ভাবসম্প্রসারণ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই
প্রকৃতির উপর আধিপত্য নয় ভাবসম্প্রসারণ
ভাবসম্প্রসারণ কত বড়ো আমি, কহে নকল হীরাটি-, তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি