How many types of gender are existed ? ?

জেন্ডার বা লৈঙ্গিক পরিচয়কে সম্প্রদায়, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন–ভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্লেষণের ভিত্তিতে মোট চারটি মৌলিক জেন্ডার ক্যাটাগরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা মানুষকে তাদের আত্মপরিচয়ের প্রেক্ষাপটে বুঝতে সাহায্য করে:

১. পুরুষ (Male)
– জন্মগতভাবে যাঁদের শরীরের লিঙ্গদিকে পুরুষ হিসেবে সনাক্ত করা হয় এবং যাঁদের স্ব-পরিচয়ও পুরুষ।
– এই দলে অধিকাংশ মানুষ সিজজেন্ডার (cisgender) পুরুষ।

২. নারী (Female)
– জন্মগতভাবে যাঁদের শরীরের গঠনকে নারী হিসেবে নির্ধারণ করা হয় এবং যাঁরা নিজেকে নারী হিসেবে অনুভব করেন।
– অধিকাংশ এই পরিচয়ের মানুষ সিজজেন্ডার নারী।

৩. ইন্টারসেক্স (Intersex)
– শরীরের জৈবিক (জিনগত, হরমোনাল বা প্রজনন সংক্রান্ত) বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পূর্ণ পুরুষ বা সম্পূর্ণ নারী হিসেবে নির্ধারণ করা সম্ভব না হওয়া অবস্থাকে ইন্টারসেক্স বলে।
– ইতিহাসে অনেক সমাজেই ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের উপর বিভ্রান্তি ও বৈষম্য ঘটেছে; বর্তমানে মানবাধিকার সংগঠন এই গোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও অধিকার রক্ষায় কাজ করছে।

৪. ট্রান্সজেন্ডার (Transgender)
– জন্মগত লিঙ্গের বিপরীত বা তার বাইরে অন্য কোনো লিঙ্গে নিজেকে অভিজ্ঞতা করা ও অভিরুচি থাকা মানুষরা এই শ্রেণীতে পড়েন।
– তাদের মধ্যে এমন কেউ কেউ নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর (FTM), কেউ কেউ পুরুষ থেকে নারীতে (MTF) রূপান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন, আবার অনেকে নন-বাইনারি বা জেন্ডারকুইয়ার পরিচয়ই পছন্দ করেন।

এ চারটি ক্যাটাগরিই জেন্ডার–পরিপ্রেক্ষিতের ব্যাপকতা ও জটিলতা তুলে ধরে। সমাজ, সংস্কৃতি, আইন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই বিভাজন ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যকে সম্মাননা জানাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

সংক্ষেপে: মানুষের জেন্ডার পরিচয়কে একগুঁয়েমি কেবল দুই ভাগে ধারণ করা যথেষ্ট নয়; বর্তমানে পুরুষ, নারী, ইন্টারসেক্স ও ট্রান্সজেন্ডার মোট চার ধরনের জেন্ডার ক্যাটাগরির মধ্যে স্বীকৃতি ও বৈচিত্র্যকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে।